Sunday, 15 May 2016

বেপরোয়া 'চোর ও ছিনতাইকারী সিন্ডিকেট': অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা

---  বেপরোয়া 'চোর ও ছিনতাইকারী সিন্ডিকেট': অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ---



নরসিংদীতে প্রকাশ্যে চুরি-ছিনতাই ও মাদকাসক্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এসব অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জড়িত স্কুল-কলেজপড়–য়া শিক্ষার্থীরা। কোনো কিছু রেখে নিশ্চিন্তে থাকতে পারছে না কেউ। 


মোবাইল, কম্পিউটার, বাইসাইকেল, মটরসাইকেল ও আসবাবপত্র থেকে শুরু করে মহিলাদের গলার হার নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে চোর ও ছিনতাইকারী সিন্ডিকেট সদস্যরা। এ নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন সাধারন জনগন।

নরসিংদী পৌর এলাকার ব্রাক্ষন্দী, বিলাসদী, ব্যংক কলনী, আজিজ বডিং, দাসপাড়া, খাল-পাড়, উপজেলা, ভেলানগর, বালুরচর, সঙ্গীতা, সাটিরপাড়া সহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিনিয়তই ঘটছে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা। মহিলাদের হাত ব্যাগ, গলার চেইন, মোবাইল কেড়ে নিয়ে দৌড়ে বিভিন্ন অলিগলিতে ঢুকে পড়ছে। এইসব চোর সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত রয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরাও। যারা চুরি ও ছিনতাই হওয়া জিনিসগুলো কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করে। ফলে চুরি ও ছিনতাইয়ে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠছে সিন্ডিকেটের সদস্যরা।

সম্প্রতি নরসিংদী হেমেন্দ্র সাহার মোড় লোকমান চত্বরে স্যামসাং এর শো-রুম থেকে প্রকাশ্যে মোবাইল চুরির সময় গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ে সাটিরপাড়া কালিকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী। পরে মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।

শোরুমের ডিলার মো তৌহিদুল ইসলাম সেতু জানায়, ‘প্রকাশ্যে দোকানে ঢুকে ৫৮ হাজার টাকার মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায় সাটিরপাড়া কালিকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পরে গোপন ক্যামেরার ফোটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয় এবং ডিবি পুলিশ মোবাইলে ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে তাকে আটক করে। আটক হওয়া শিক্ষার্থীর মাধ্যমে জানতে পারি চুরি হওয়া মোবাইলটি ইনডেক্স প্লাজার একটি নামি-দামি দোকানের মালিক ২৯,০০০ টাকায় কেনেন। তারপর সেখান থেকে পুলিশের সহযোগীতায় চুরি হওয়া মোবাইলটি ফেরত আনি।’

নরসিংদী বিলাসদী এলাকার টুটুল সিকদার জানায়, নরসিংদীতে চোর ও ছিনতাইকারী চক্র অনেক বেড়ে গেছে। ঘরের জানালা দিয়ে প্রতিনিয়তই মোবাইল ও কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটছে। বাড়ি থেকে গ্রিল কেটে বাইক ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে। এসব অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে উঠতি বয়সী শিক্ষার্থীরা। যার কারনে অভিবাবকমহলের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

No comments:

Mobile

Pages