Sunday 17 July 2016

আইএস-কে বিস্ফোরক সরবরাহে ভারত দ্বিতীয়

 আইএস-কে বিস্ফোরক সরবরাহে ভারত দ্বিতীয়

যেসব সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কাছে বিস্ফোরক এবং নানা ধরণের সামরিক রসদ সরবরাহ করে তার অধিকাংশই তুরস্কে অবস্থিত। তবে দ্বিতীয় অবস্থানেই রয়েছে ভারত।
‘কনফ্লিক্ট আর্মামেন্ট রিসার্চ' (সিএআর) নামের একটি সংস্থার দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৈরি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ২০টি দেশের ৫১টি প্রতিষ্ঠান আইএসকে বিস্ফোরক এবং নানা ধরণের সামরিক রসদ সরবরাহ করে থাকে। তুরস্ক ও ভারত ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রোমানিয়া, রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস, চীন, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া আর চেক প্রজাতন্ত্রের মতো আরও অনেক দেশের প্রতিষ্ঠান এই কাজে জড়িত। 

সিএআর জানায়, তারা ইরাকের রাবিয়া, কিরকুক, মসুল ও তিকরিত এবং সিরিয়ার কোবানি শহরে আইএস যোদ্ধাদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই ২০টি দেশের ৫১টি প্রতিষ্ঠানের কথা জানতে পেরেছে। 

সিএআর-এর দেয়া গত ২০ মাসের তথ্যের আলোকে জানা যায়, এই ৫১টি প্রতিষ্ঠান যেসব সামরিক রসদ আইএসকে সরবরাহ করে থাকে তার মধ্যে অন্তত ৭০০টি উপাদান বোমা উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। 

সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৩টি রয়েছে তুরস্কের প্রতিষ্ঠান। এরপরেই রয়েছে ভারতীয় ৭টি প্রতিষ্ঠানের নাম। তবে অভিযুক্ত ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বিষয়টি অস্বীকার করেছে। 

তাদের ভাষ্যমতে, তারা তৃতীয় পক্ষের কাছে এসব উপাদান বিক্রি করে থাকেন। পরে এগুলো কোথায় যায়, সে ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না। 

এদিকে সিএআর জানিয়েছে, আইএস-কে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রসদ সরবরাহ করায় জড়িত ৭টি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের রসদের মধ্যে ‘ফিউজ' বা ডেটোনেটিং কর্ড-এর মতো জিনিসও রয়েছে। যা লেবানন বা তুরস্ক হয়ে আইএস-এর কাছে পৌঁছায়। 

ইরাকের কেন্দ্রীয় পুলিশ সংস্থা ও সিরিয়ার ওয়াইপিজি ছাড়াও আরও কয়েকটি সংস্থা সিএআরকে এই তথ্য সংগ্রহে সহায়তা করে। 

গত কয়েকদিন আগে ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস' পত্রিকাটি ভারতের এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপরই ব্যাপারটি নিয়ে পুরো ভারত জুড়ে আলোচনার জন্ম হয়।

No comments:

Mobile

Pages