Tuesday, 19 July 2016

জঙ্গি হতে স্বপরিবারে দেশ ছারলেন একজন চিকিৎসক

জঙ্গি হতে স্বপরিবারে দেশ ছারলেন একজন চিকিৎসক 
সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক –   ‘ভাই, আল্লাহর রাস্তায় চলে যাচ্ছি। দোআ করিও। পরকালে তোমাদের সঙ্গে দেখা হবে’—স্বজনদের সঙ্গে এসব কথা বলেই বছর খানেক আগে স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক মেয়ের জামাতাসহ দেশ ছেড়েছিলেন এক চিকিত্সক। সূত্রমতে, তারা প্রথমে বাংলাদেশ থেকে যান মালয়েশিয়ায়, পরে সেখান থেকে তারা পাড়ি জমান তুরস্কে। জঙ্গি কার্যক্রমে অংশ নিতেই তাদের এই বিদেশ যাত্রা। প্রসঙ্গত, এই চিকিত্সকের এক মেয়ে ও তার স্বামী দুজনেই নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন।
jonggi
সপরিবারে বিদেশ পাড়ি দেওয়া এই চিকিত্সকের নাম রোকনুদ্দীন খন্দকার। ঢাকা শিশু হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. রুহুল আমীনের অধীন রেজিস্ট্রার ছিলেন তিনি। যাওয়ার আগে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।
একজন চিকিত্সকের সপরিবারে জঙ্গি কার্যক্রমে যোগ দেয়ার বিষয়টি এক বছর পর ফাঁস হলে ঢাকা শিশু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিত্সকরা বিস্মিত হয়ে যান। তারা বলছেন, তারা কল্পনাও করতে পারছেন না যে তার মতো একজন চিকিত্সক জঙ্গি কার্যক্রমে অংশ নিতে দেশ ছেড়েছেন। তারা জানান, শিশু হাসপাতালে চাকরি করা কালে তার মধ্যে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার ছাপ দেখা যায়নি।
রাজধানীর খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ার ৪৪১/বি নম্বর বাড়িতে সপরিবারে থাকতেন ডা. রোকনুদ্দীন খন্দকার। তার স্ত্রী নাইমা আক্তার মালিবাগের হোমিও চিকিত্সক ডা. আলী আহম্মেদের মেয়ে। পৈত্রিক সূত্রে মালিবাগের ওই বাড়ির মালিক নাইমা আক্তার ও তার ছোট বোন ডা. হালিমা আক্তার। সাত তলা বাড়ির ১৪টি ফ্ল্যাটের মধ্যে দুই বোন ৭টি করে ফ্ল্যাটের মালিক। এই বাড়ির তৃতীয় তলার ডান পাশের ফ্ল্যাটে থাকতেন ডা. রোকনুদ্দীন খন্দকার। তার বড় মেয়ে রেজওয়ানা রোকন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। ওই বিভাগের শিক্ষার্থী শিশিরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
গত বছরের জুনে একদিন হঠাত্ করে তারা সপরিবারে বিদেশ যেতে রওনা দেন।  বিদায় বেলায় পরিবারের সদস্যদের কাছে রোকনুদ্দীন বলেন, ‘ভাই, আল্লাহর রাস্তায় চলে যাচ্ছি। দোআ করিও। পরকালে তোমাদের সঙ্গে দেখা হবে।’
গতকাল মালিবাগের ওই বাড়িতে কথা হয় নাইমা আক্তারের ছোট বোন ডা. হালিমা আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত বছর রোজার সময়ে হঠাত্ একদিন তার বোন তাকে জানান যে সপরিবারে তারা বিদেশ যাবেন। এর ২-৩ দিন পর একদিন সন্ধ্যায় তাকে জানান যে ওইদিন রাত ২টায় তাদের বিদেশ যাওয়ার ফ্লাইট। প্রথমে তারা মালয়েশিয়া যাবেন। এরপর সেখান থেকে তুরস্কের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। তার স্বামী রোকনুদ্দীন খন্দকার সেখানে একটি হাসপাতালে চাকরি পেয়েছেন।
হালিমা আহমেদ আরো বলেন, রোকনুদ্দীনের সঙ্গে তার স্ত্রী, দুই সন্তান রেজওয়ানা রোকন ও রামিতা রোকন, রেজওয়ানা রোকনের স্বামী সাদ কায়েস রওনা দেন। এরপর থেকে তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি। রোকন উদ্দিনের বড় ভাই আফাজ উদ্দিনের ছেলেমেয়েরা এখন সাতটি ফ্ল্যাট দেখাশোনা করছে। হালিমা আহমেদ বলেন, সদ্য সমাপ্ত রমজান মাসে হঠাত্ একদিন একটি বিদেশি নম্বর থেকে তার কাছে মোবাইল ফোনে কল আসে। ওপার প্রান্ত থেকে নাইমা আহমেদ জানান যে তারা তুরস্কে আছেন, ভালো আছেন। এর বেশি কথা হয়নি।
এক পরিবারের পাঁচজন এক বছর ধরে নিখোঁজ থাকার বিষয়টি তদন্ত করতে গত বৃহস্পতিবার রামপুরা থানা পুলিশের একটি টিম মালিবাগের ওই বাড়িতে যায়। পুলিশ তদন্ত শেষে নিশ্চিত হয় যে তারা বাংলাদেশে নেই।
তদন্ত শেষে শনিবার রাতে রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ওই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ওসি রফিকুল ইসলাম নিখোঁজ ওই চিকিত্সকের ভাই আফাজ উদ্দিনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ভাই দেশে না ফেরায় ওইসব ফ্ল্যাটের ভাড়া বড় ভাইয়ের ছেলেমেয়েরা জমা করছেন। তবে কী কারণে তার ভাই দেশে ফিরছেন না বা তাদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ হয়েছিল কিনা-এ ব্যাপারে পুলিশকে আফাজ উদ্দিন বিস্তারিত তথ্য দেননি। ওসি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি রহস্যজনক। এর সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। বিষয়টি পুলিশের শীর্ষ পর্যায়কে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
শেরে বাংলা নগরে ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মনজুর হোসেন বলেন, অনেক আগে ডা. রোকনুদ্দীন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। তবে তিনি মৌখিকভাবে তার কাছে জানিয়েছিলেন, ‘তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ইমিগ্র্যান্ট হয়েছেন। হঠাত্ তার মধ্যে পরিবর্তন দেখা যায়। লম্বা দাড়ি রেখে চুপচাপ থাকেন। হঠাত্ চাকরি থেকে বিদায় নেয়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের কাছে রহস্যজনক মনে হয়েছে।
অন্যদিকে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আরো দুই জন নিখোঁজ থাকার ব্যাপারে জানতে পেরেছে। এরা হলেন বনানীর ডা. আফজাল হোসেনের ছেলে তাওসীফ হোসেন। নিখোঁজ তাওসীফ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি দেশেই অবস্থান করছেন। দেশের একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা মিলেছে।
অপর নিখোঁজ ব্যক্তি হলেন সেজাদ রউফ ওরফে অর্ক ওরফে মরক্কো। তার পিতার নাম  তৌহিদ রউফ। বারিধারায় তার বাসা। তিনিও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় নিখোঁজ ১০ জনের এখনও সন্ধান মিলেনি। তাদের পরিবারের সদস্যরা সন্তানদের ফিরে আসার আকুতি জানিয়েছেন। তারা অপেক্ষা করছেন যে কখন তাদের সন্তান ফিরে আসবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম শাখার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনেকেই জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করে আত্মগোপন করে আছে।

Monday, 18 July 2016

ইসলামিক স্টেট, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান



ইসলামিক স্টেট, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান
ইসলামিক স্টেট, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান
ইসলামিক স্টেট, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান


ঠিক যেভাবে, যে গতিতে তালেবানরা পাকিস্তান থেকে বের হয়ে আফগানিস্তান দখল করেছিল, অনেকটা সেভাবেই আই.এস.আই.এল (আইসিল) সিরিয়া থেকে বের হয়ে ইরাক দখল করেছেসামরিক প্রশিক্ষণ, শক্তি ও সরঞ্জাম বিবেচনা করলে দুটোর মধ্যে অনেক মিল লক্ষণীয়পার্থক্য যে নেই তা নয়তালেবানরা রাজধানী কাবুলেই তাদের সরকার প্রতিষ্ঠিত করেছিল, আফগানিস্তান নামক স্বীকৃত রাষ্ট্রের শাসক হয়েছিল অন্যদিকে আইসিল দুটি রাষ্ট্রের বিরাট অংশ কব্জায় নিতে পারলেও কোনো দেশের রাজধানী অবধি তারা পৌঁছতে পারেনিসিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক এখনও আসাদের কব্জায় এবং ইরাকের বাগদাদ এখনও ইরাক সরকারের অধীনেই রয়েছেজাতিসংঘসহ সকল দেশের কাছে এখনও আসাদ সরকার ও বাগদাদ সরকারই যথাক্রমে সিরিয়া ও ইরাক সরকার আইসিলের দখল করা জায়গায় যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা বিশ্বের কাছে একটি লুণ্ঠন করা ভূমি হিসেবে পরিগণিত হয়ে আছেকিন্তু সমস্যা প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ডাকাতি হয়ে যাওয়া ভূমি কিভাবে উদ্ধার করা যায় তা নিয়ে

উদ্ধারের কথা এলে আসে উদ্ধার করবে কেআর উদ্ধার করা জমি দেয়া হবে কাকে”—প্রশ্ন দুটিখোদ এই অনিবার্য প্রশ্ন দুটির উত্তর বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে ঘোলাটে হয়ে উঠেছেউদ্ধারকর্মে পশ্চিমাদের আগ্রহ এ মুহূর্তে খুব একটা দেখা যাচ্ছে নাতারা এখানে ওখানে বোমা ফেলছে আর আগাম ঘোষণা দিয়ে বিশ্ববাসীকে জানান দিচ্ছে যে, এতে আপাতত তেমন কাজ হবে না; এটা একটা দীর্ঘ মেয়াদি যুদ্ধ ইত্যাদিকোবানি আক্রমণে আইসিলের সেনা মোতায়েন ও রিইনফোর্সমেন্ট নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে, আইসিলের উপর বোমাও পড়ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যথারীতি আমাদেরকে শুনতেও হচ্ছে যে, কোবানির পতন ঠেকানো যাচ্ছে নাযুক্তরাষ্ট্র আসাদকে জমি উদ্ধারের দায়িত্ব দিতে যেমন নারাজ, তেমনই নারাজ ইরাকের শিয়াদেরকে দিতেওকাজেই নিজেরা তা উদ্ধার করে আসাদ বা শিয়াদেরকে দেবে কোন কারণে? ফলে আপাতত কিছুদিন আইসিল কিছু সুবিধায় থাকছে বলেই অনুমান করা যায়

এখানে করিৎকর্মা সি.আই.এ-এর আরেক দক্ষতার সাথে আমাদের পরিচয় ঘটেছে সাদ্দামের ইরাকের বেলায় সি.আই.এ যা নেই তা দেখতে পেয়েছিলসাদ্দামের গুদামেমওজুদবিশাল আয়তনের গণবিধ্বংসী অস্ত্রশস্ত্রএবার আইসিলের মতো বাহিনী গড়ে উঠলো সিরিয়ায়, আমেরিকা-ইউরোপ থেকে পর্যন্ত লোক-লস্কর এসে জুড়লো সেখানে, এতো এতো ভারী ভারী যুদ্ধযান সব আমদানি হলো, কাড়ি কাড়ি টাকা উড়ে আসলোকিন্তু সি.আই.এ এতো থাকা কিছুর কিছুই দেখতে পেল নামার্কিনীরা আগের বার বলেছিল, “ওহহো, বেটা সি.আই.এ ভুত না দেখলে তো যুদ্ধটারই দরকার হতো নাএবার বলছে, “ওহহো, বেটা সি.আই.এ দৈত্যের বাচ্চাটাকে সময়মত দেখলে তো আজ সেটা এতো বড় হওয়ার সুযোগ পেতো না

ইরানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বেকায়দায় আছে সেই খোমেনির তেহরানে প্রত্যাবর্তনের দিন থেকেইকূটনীতিতে একের পর এক পরাজয় নিয়ে ঘরে ফিরতে হয়ে থাকে যদি কোনো পরাশক্তির, তবে তা ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ঘটেই জুটেছেযুক্তরাষ্ট্র ইরানের ডানে-বায়ে আফগানিস্তান ও ইরাকে শক্তভাবে অবস্থান নিতে চেয়েছিলকিন্তু ইরানের সদর অন্দর দুই দরজা পর্যন্ত যেতে যেতেই সে ক্লান্ত হয়ে পড়লোউল্টো ইরান পেল সাদ্দামের এক কাড়ি জঙ্গি বিমান আর শাতিল আরবতারপর ইরাকে প্রতিষ্ঠিত হলো ইরানের প্রভাব, খোদ যুক্তরাষ্ট্রের অবদান হিসেবেইআহারে! একসময় এই ইরাককেই যুদ্ধে নামিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধেতখনকার নতুন তেহরান সরকার এই যুদ্ধকে আশ্রয় করেই গড়ে তুললো জাতীয় ঐক্য, খোমেনি আরও জাঁকিয়ে বসলোআইসিলের খবর আমরা তখনও জানি না, ইরানী নেতা ভবিষ্যতবাণী করলেন, বিশ্ববাসী সিরিয়ার মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয় দেখতে পাবেআসাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান আর রাশিয়া আমরাও দেখলাম প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্র বলতে গেলে হেরেই গিয়েছেরাশিয়ার উপর যুক্তরাষ্ট্র এখন বেজায় নাখোশআসাদ, ইরান ও রাশিয়াকে এক সাথে এক হাত দেখে নেয়ার এখন ভাল হাতিয়ার আইসিল

যুক্তরাষ্ট্র ও আইসিলের মধ্যকার বর্তমান সাপে-নেউলে সম্পর্কের কতটুকু খাঁটি আর কতটুকু পাতানো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠানো যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ধরণ থেকেতবে একথাও বলা যায় যে, আইসিলের সাথে আপাতত সুবিধায় থাকছে যুক্তরাষ্ট্রওযুক্তরাষ্ট্রের অন্য দুটো গুরুত্বপূর্ণ সুবিধার একটি হচ্ছে আরবদেরকে দিয়ে আরবে যুদ্ধ করা ও অপরটি পশ্চিম থেকে উগ্র সালাফীদেরকে আরবে এনে ফেলাএবার আমরা পশ্চিমা গণমাধ্যমে নতুন টার্মিনোলজির ব্যবহার দেখতে পাচ্ছিটেররিস্ট শব্দের ব্যবহার কিছুটা কমেছে, আইসিলকে পরিচিত করানো হচ্ছে জিহাদিষ্ট হিসেবেকুর্দিদের পিকেকে, সিরিয়ার নুসরাহরা সকলেই টেররিস্টনুসরাহরা আলকায়দাও বটেকিন্তু আসাদের বিরুদ্ধে তারা লড়ছে, তারা আবার আইসিল বিরোধীওবিপরীত ফ্রন্টে আইসিলের বিরুদ্ধে আছে পিকেকেওবিভাজন ও বিরোধ এসেছে শিয়া-সুন্নিদের মধ্যেআরেক বিরোধকে বলা হচ্ছে কুর্দি-সুন্নি বিরোধশিয়া-সুন্নি বিরোধ আমাদের কাছে বোধগম্য হলেওকুর্দি-সুন্নিটার্মিনোলজি খুবই কৌতূহলের বিষয়, কারণ কুর্দিরাও সুন্নি অন্যদিকে, শিয়া-সুন্নি বিরোধ তাত্ত্বিক দিক থেকে তত বৈরী নয়আসল ভয়ংকর তাত্ত্বিক বিরোধটা হচ্ছে সালাফী-শিয়া বিরোধজিহাদিস্টরা সালাফীদের মধ্যকার একটি উপদলসালাফীরা এক অর্থে সুন্নি হলেও ঐতিহ্যগত মাজহাবী সুন্নি, বিশেষ করে হাম্বলীরা বাদে অন্য তিন উসুলী (সার্বিক সূত্র/নীতি আশ্রয়ী) সুন্নি মাজহাব থেকে র‍্যাডিক্যালী ভিন্নএরা যেখানে যাবে সেখানে শিয়ারা সমানে নিহত হবে, নিহত হবে তাদের বিরোধিতাকারী কুর্দি ও সুন্নিরাওআবার যখন জিহাদিস্টরা হেরে যাবে তখন সুন্নিরা সমানে নিহত হবে শিয়াদের হাতে, অ-কুর্দি আরবরা নিহত হবে কুর্দিদের হাতেএর মাঝে বর্তমানে হাজারে হাজার কুর্দি উদ্বাস্তু হচ্ছে, হচ্ছে শরণার্থী; যাদের নিয়ে কারও তেমন কোনো মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হচ্ছে না

কাজেই দেখা যাচ্ছে, আরবদের নিজেদের বিরোধকে এমনভাবে বহুমাত্রিক করা সম্ভব হয়েছে যে, তা প্রকাশ করার যথাযথ শব্দেরও আকাল পড়ে গিয়েছেসমস্যা রপ্তানি করা গেছে আরেক জাতি তুর্কিদের মধ্যেওইতোমধ্যে সেখানে পুলিশের গুলিতে মারা যাচ্ছে কুর্দিরাট্যাংক নিয়ে লাইন ধরে তুর্কিরা উঁচু ভূমিতে বসে পশ্চিমাদের বোমারু বিমান আর আইসিলের গোলায় তৈরি হওয়া ধুঁয়ার কুণ্ডলী দেখে সময় কাটাচ্ছেনীচে আইসিল দিনে দিনে কোবানি দখলে এগুচ্ছেজাতিসংঘ আর পশ্চিমারা চাপ দিলেও তুরস্ক নিজের যোদ্ধাদেরকে এক শত্রুর পক্ষে গিয়ে আরেক শত্রুর গোলার বলী হতে দিতে সহজে রাজী হবে নাতুরস্কের মুখ থেকে তাই আসল মার্কিন ইচ্ছাটাই ছুতা হিসেবে বের হয়ে এসেছেতুরস্কের পরিষ্কার কথা, “সবকিছুর মূল কারণআসাদকে আগে হটাতে হবে, তারপরে কোবানি নিয়ে ভাবা হলে তখন দেখা যাবে কী করা যায়এদিকে সন্ত্রাসীপিকেকে-নুসরাহ ও দুনিয়ার সব মুক্তি সংগ্রামে মহান অংশীদারযুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভাই-ভাই ভাব দেখা ছাড়াও আমাদেরকে শুনতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সহযোগিতার কথাওইরান নিজের গুরুত্ব বাড়িয়েছে; তার পারমানবিক বোমা তৈরির কাজ ভেস্তে দেয়ার মার্কিন পরিকল্পনাও আপাতত লাটে উঠেছেওদিকে ইসরাইল আসল শত্রুকে চিনতে এখনও ভুলের মধ্যে পড়েনিতারস্বরে বলে চলেছে, আইসিল নয়, ইরানই তার জন্য আসল হুমকি
আইসিল নাটক এবং আইসিল চাল যুক্তরাষ্ট্রকে আখেরে আরেকটি লাভ বয়ে এনে দিতে পারেতা হচ্ছে আরব জনগণের কাছে ত্রাণকর্তা দেবতার আসনসৌদি আরবের রাজার মতো আরব রাজাদের এবং মিশর-আলজেরিয়ার প্রাহসনিক গণতন্ত্রী শাসকদের কাছে যুক্তরাষ্ট্র দেবতার মতো হয়ে থাকলেও আরব জনগণের কাছে তার ভাবমূর্তি যথেষ্ট নষ্ট হয়েছেএতদিন ধরে সাধারণ আরবরা যুক্তরাষ্ট্রকে সব নষ্টামির নাটের গুরু হিসেবে দেখে আসছেসেই সময় হয়তো দ্রুত এগিয়ে আসছে যখন গণ আরবরা যুক্তরাষ্ট্রের পায়ে পড়ে বলবে, এবার সৈন্য নিয়ে এসো ভাই, আমরা যে আর পারছিনেমোট কথা, আইসিল যুক্তরাষ্ট্রের এমন এক গুটি যা দিয়ে সে এক ঢিলে অনেক পাখি শিকার করতে যাচ্ছে হয়তো

যুক্তরাষ্ট্র শিক্ষা নিতে ভুল করে নাসে ভিয়েতনাম থেকে শিক্ষা নিয়ে আফগানিস্তানে গিয়েছেসেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে গিয়েছে ইরাকেএবার সব শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে উত্থিত করেছে আইসিলকেমিশরকে সে আগেই সাইজ করেছে সেনাবাহিনীকে নতুন রূপে এমন ভাবে এনেছে যে, আগামী বিশ-পঁচিশ বছরের জন্য বসন্ত বাতাসে উত্তাল মুক্তিকামীদেরকে এই সেনাবাহিনী এবং তাদের দেয়া গণতন্ত্র নিয়েই তুষ্ট থাকতে হবে; আল-বারাদেকে আর দেখাও যাবে না, তার কথাও শোনা যাবে নামোটাবুদ্ধি গোঁয়ার-গোবিন্দদের দল ব্রাদারহুড গরাদের এপার ওপার দুপারেই ঠাণ্ডা হয়ে বসে থাকবেকিন্তু সিরিয়ায় ও ইরাকে ইরানের কাছে হেরে যাওয়ার বদলা যুক্তরাষ্ট্র নেবে কিভাবে তা-ই এখন দেখার বিষয়কারণ আইসিলকে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র যেমন নিজের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইবে, তেমনই আইসিলও যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবহার করে তার এজেন্ডা নিয়ে জয়ী হতে চাইবেআইসিলকে বাইরের কেউ স্বীকার করুক আর না-ই করুক তারা সুবিশাল জমি দখলে নিয়েছে, সে জমির সুন্নিদের কাছে তারা গৃহীত হয়েছেএটা আফগানিস্তানের পাহাড় নয় যে ক্লাস্টার বোমা ফেলা যাবেসুন্নি নিধন ছাড়াই জিহাদিস্ট-সালাফী আইসিলকে পরাজিত করার শেষ সর্বাত্মক লড়াই কিভাবে সম্ভব, যেখানে আবার সিরিয়ার মাটিতে আসাদেরও হার হবে, ইরাকের মাটিতে ইরানেরও হার হবেপশ্চিমাদের কাছে এখন সেটাই খুঁজে বের করার বিষয়তবে যুদ্ধ এড়াতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র, আকাশ থেকে হলেও বোমা ফেলতে হবেএটাও ঠিকচীনারা পশ্চিমাদের এই অবস্থাকে দেখছে আমোদের সাথেইআরবরা নিপতিত থাকছে নানা কিসিমের যুদ্ধের মাঠে আর শরণার্থী শিবিরে

আপনি কি জানেন বিচারক ফাঁসির রায় দেওয়ার পর কেন কলমের নিব ভেঁঙ্গে ফেলে

আপনি কি জানেন বিচারক ফাঁসির রায় দেওয়ার পর কেন কলমের নিব ভেঁঙ্গে ফেলে


এ কথাটি হয়তো অনেকেরই অজানা, মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পরে বিচারক বা বিচারপতিরা কলমের নিব ভেঙে ফেলেন! এমন কথা শুনে হয়তো অনেকেই চমকে উঠতে পারেন। কিন্তু না, সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই এই রেওয়াজ চলে আসছে। আজকের দিন পর্যন্ত এটি চলছেই। তবে প্রশ্ন হলো কেন?
আর উত্তর, কারণ একটি নয়, একাধিক। প্রথমত, এটি একটি প্রতীকী বি‌ষয়। ব্যাখ্যা হল, যে কলম একজনের জীবন নিয়ে নিয়েছে, তা যেন আর কারো জীবন নিতে না-পারে।
দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটি এর সঙ্গেই সম্পৃক্ত। বলা হয়, বিচারক বা বিচারপতি ওই মৃত্যুদণ্ড এবং তা থেকে প্রসূত অপরাধবোধ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে চান। সে কারণেই নিবটি ভেঙে ফেলেন।একজন বিচারক বা বিচারপতি তার দেয়া মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে নিতে পারেন না। তৃতীয় ব্যাখ্যা হিসেবে বলা হয়, তিনি যাতে কোনোভাবেই মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে নেয়ার কথা ভাবতে না পারেন।
শেষ ব্যাখ্যা, সব মৃত্যুই দুঃখের। কিন্তু কখনো মৃত্যুদণ্ডের মতো চরম শাস্তির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই কলমের নিব ভেঙে ফেলা হয় এটা বোঝাতে যে, মৃত্যুদণ্ড দুঃখজনক ব্যাপার।

আই এস আই এল, আই এল, আল কায়দা এদের চরিত্র



    আই এস আই এল, আই এল, আল কায়দা 


    আল কায়েদা , তালেবান , বোকো হারাম , আই এস আই এস ইত্যাদি ইসলামী উগ্র পন্থী দলের নাম বর্তমান দুনিয়ায় জানে না এমন লোক খুজে পাওয়া যাবে না। আত্মঘাতী হামলা , নারী অপহরন , বোমা হামলা , গনহত্যা ইত্যাদি ঘটনা নিয়মিত ঘটিয়ে প্রতিদিনই খবরের শিরোনাম হয়। কিন্তু এরা আসলে কারা ?

    অধিকাংশ সাধারন মুসলমান সাধারনত: নিরীহ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করে , নিয়ম করে ধর্ম কর্ম পারলে পালন করে ,না পারলে করে না - এটা নিয়ে অতি বেশী হা হুতাশও করে না। এরা মনে প্রানে বিশ্বাস করে ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম, তবে কিভাবে শান্তির ধর্ম সেটা এরা কখনও কোরান হাদিস পড়ে জানে না , জানার তেমন দরকার বোধও করে না। জন্ম সূত্রে এই সব সাধারন মুসলমানরা মসজিদের ইমামের কাছ থেকে যা জানে সেটাই মেনে চলে। দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততায় এর বেশী জানার সময় কম , আগ্রহও নেই। ভাবে যেটুকু শুনে শুনে জেনেছে তাতেই জীবন চলে যাবে।

    সমস্যাটা হয় তখন, যখন ইসলামের নামে কোন গ্রুপ , দল বা কেউ ব্যাক্তিগত ভাবে আত্মঘাতী হামলা বা বোমা হামলা করে বা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে সাধারন নিরীহ মানুষ হত্যা করে। যেমন উপরের উগ্র পন্থি ইসলামী দলগুলো প্রায়ই এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে থাকে এবং এখনো বীর দর্পে করে যাচ্ছে। সাধারন মুসলমানেরা তখন পড়ে বিপদে, কারন তাদের বিশ্বাস করা শান্তির ধর্ম ইসলামের ধারনাটা চ্যলেঞ্জের সামনে পড়ে। সাথে সাথেই তারা প্রতিবাদ করে ওঠে উক্ত সব সন্ত্রাসী দলগুলো ইসলামের নামে সন্ত্রাস করে ইসলামের বদনাম করছে। এদেরই মধ্যে কিছু কিছু চালাক লোক তখন নানা রকম তত্ত্ব আবিস্কার শুরু করে যে , এসব উগ্রপন্থি দল আসলে আমেরিকা বা ইহুদিদের সৃষ্টি এবং তারাই মূলত: ইসলামকে খারাপ ভাবে দেখানোর জন্য কিছু লোক দিয়ে এ ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। একই সাথে দেখা গেছে - আল কায়েদা যখন ২০০১ সালে নিউইয়র্কের বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্র ধ্বংস করেছিল - এরা বেশ আত্মসুখ অনুভব করেছে , অনেকেকেই বলতে শোনা গেছে ওসামা বিন লাদেন একজন বীর ইসলামী সেনানী। এদের কেউ যখন ইসরাইলের মধ্যে আত্মঘাতী বোমা মেরে কিছু ইহুদী নিধন করে , তখন এরাই কিন্তু বেশ খুশী হয়ে যায়। তখন আর এরা ইসলামের নামে সন্ত্রাস করে ইসলামের বদনাম করে না।

    ইসরাইল যখন হামাসকে দমন করতে গিয়ে নারী ও শিশু হত্যা করে ফেলে যদিও সেটা ক্রস ফায়ারে পড়ে , তখন এরা তারস্বরে চিৎকার শুরু করে ইহুদিদেরকে বর্বর হিসাবে আখ্যায়িত করে, প্রতিটি মুসলমান দেশে মিছিল ও প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়। কিন্তু নাইজেরিয়াতে বোকো হারাম যখন ৩০০ খৃষ্টান ছাত্রী অপহরন করল , এরা সবাই মুখে কুলুপ এটে বসে থাকল।একটা মুসলমান দেশ এগিয়ে গেল না তাদেরকে উদ্ধার করতে , শেষ মেষ আমেরিকাকেই যেতে হলো তাদেরকে উদ্ধার করতে। তালেবানরা যখন একের পর এক আত্মঘাতী বোমা হামলা করে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে সাধারন মানুষ হত্যা করে , তখন এরা মুখে কুলুপ এটে বসে থাকে। বর্তমানে শিয়া ও সুন্নিরা যে সিরিয়াতে গত তিন বছরে ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধে তিন লাখের মত মুসলমান হত্যা করল , এদের কারও কাছ থেকে কোন প্রতিবাদ আসে না। বরং দেখা যায় যারা সুন্নি তারা শিয়াদেরকে কাফের বলে গালি দেয় আর যারা শিয়া তারাও একই ভাবে গালি দেয় সুন্নিদেরকে। সর্বশেষে কোন রকম উস্কানী ছাড়াই আই এস আই এস ইরাকের ব্যাপক অংশ দখল করে সেখান থেকে অমুসলিমদেরকে হত্যা করছে , তাদেরকে তাড়িয়ে দিচ্ছে , এমন কি তারা শিয়াদেরকে পাইকারী হারে হত্যা করছে , তখনও এই সব সাধারন মুসলমান চুপ। কোন টু শব্দ নেই।

    এখন প্রশ্ন হলো এসব উগ্র পন্থি মুসলমান দল যদি ইহুদি বা আমেরিকার চর হয়ে থাকে এবং তারা যদি ইসলামের নামে ইসলাম বিরোধী কাজ করে ইসলামের বদনাম করার ষড়যন্ত্র করে থাকে , তাদের এহেন বর্বর হত্যাকান্ডের ব্যাপারে তারা টু শব্দটি কেন করে না ? কেন রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদ করে না ? কেন তারা প্রতিবাদ করে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে তাদেরকে দমন করার জন্য কোন পদক্ষেপ নেয় না? সাধারন লোকজন কেন তখন চুপ থাকে? অথচ এরাই কিন্তু ইসরাইল যদি ফিলিস্তিনীদেরকে হত্যা করে বা বার্মায় যদি মুসলমানরা নির্যাতিত হয় তখন বিপুল বিক্রমে রাস্তায় নেমে আসে।

    তাহলে এ থেকে আমরা কি বুঝব ? 

    Sunday, 17 July 2016

    গাড়িতে উঠলে বমিভাব কেন হয় ও তা দূর করার উপায়

    গাড়িতে উঠলে বমিভাব কেন হয় ও তা দূর করার উপায়


    বাস বা ট্রেনের ঝাঁকুনি, লঞ্চের দুলুনি এবং বিমানের শূন্যতার কারণেই মূলত এই সমস্যায় পড়েন অনেকে। পেটে অসস্তিকর অনুভূতি, মাথা ঘোরানো, কানে ভোঁ ভোঁ করতে থাকা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। অনেক কারণে বমি হতে পারে। যেমন- কেউ ভীষণ অসুস্থ হলে, বিষাক্ত কিছু খেলে, বাজে গন্ধ বা বাজে স্বাদের খাবারের কারণে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে বা কোনো কারণে খাদ্যনালী বন্ধ হয়ে গেলেও বমি হতে পারে। অতিরিক্ত পরিশ্রম বা মোশন সিকনেসের কারণেও বমি হতে পারে।

          তবে মোশন সিকনেস ভ্রমণের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। এক ধরনের মস্তিকের সমস্যার কারণে এটা হতে পারে। বিশেষ করে বাস, প্রাইভেট কার বা ইঞ্চিনচালিত এ ধরনের বাহনগুলিতে বমির সমস্যা হতে পারে। অন্তঃকর্ণ আমাদের শরীরের গতি ও জড়তার ভারসাম্য রক্ষা করে।

          যখন গাড়িতে চড়ি তখন অন্তঃকর্ণ মস্তিষ্কে খবর পাঠায় যে সে গতিশীল। কিন্তু চোখ বলে ভিন্ন কথা। কারণ তার সামনের বা পাশের মানুষগুলো কিংবা গাড়ির সিটগুলো থাকে স্থির। চোখ আর অন্তঃকর্ণের এই সমন্বয়হীনতার ফলে তৈরি হয় মোশন সিকনেস। এ কারণে তৈরি হয় বমি বমি ভাব, সেই সঙ্গে মাথা ঘোরা, মাথা ধরা প্রভৃতি। আজকে জেনে নিন এই মোশন সিকনেস থেকে বাঁচতে অর্থাৎ বাস বা ট্রেন ধরণের বাহনে উঠলে বমিভাব দূর করার খুবই সাধারণ কিন্তু কার্যকরী উপায়গুলো…

        ১) বাহনে উঠার আগে কি খাওয়া উচিত এবং উচিত নয় সেদিকে নজর দিন। অতিরিক্ত সফট ড্রিংকস, ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার একেবারেই খাবেন না। যারা এই সমস্যায় ভোগেন তারা প্রয়োজনে কিছু না খেয়েই বাহনে উঠুন। অনেক দূরের পথ হলে হালকা শুকনো কিছু খেয়ে নিন।

        ২) অতিরিক্ত ঘ্রাণ বা সুগন্ধযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বাহন চলাকালীন সময়ে কিছু খেতে চাইলে শুকনো চিপস ধরণের খাবার অল্প পরিমাণে খাবেন। পানি পান করবেন।

        ৩) বাহন যেদিক মুখ করে সামনে এগুচ্ছে তার উলটো দিকে কখনোই বসবেন না। এতে উলটো মোশনের কারণে বমিভাব প্রবল হয়। বাহন যেদিকে এগুচ্ছেন সেদিক মুখ করে বসুন।

        ৪) বাসে বসার ক্ষেত্রে পেছনের দিকের সিটে বসার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। পেছনের দিকে ঝাঁকুনি বেশী লাগে যা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

        ৫) যতোটা সম্ভব চলার পথের সমতলে নজর রাখুন। বাইরের দৃশ্য দেখায় মনোযোগ দিন। নিচের দিকে বা উপরের দিকে তাকিয়ে বসে থাকলেও বমিভাব ও অস্বস্তি হয়।

        ৬) যাদের মোশন সিকনেস রয়েছে তারা বাহনে উঠে চলার সময় কোনো বই পড়া বা মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে কিছু দেখার চেষ্টা করবেন না। এতে আরও অস্বস্তি হতে থাকবে।

        ৭) বদ্ধ স্থানে আরও বেশী সমস্যা হয়। তাই বাস বা ট্রেনে উঠলে জানালার পাশে বসে তাজা বাতাস গ্রহন করতে পারলে এই বমিভাব আপনা থেকেই কেটে যায়। বিমানের জন্য বা বড় ফিক্সড জানালার এসি বাসের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়।

    সাপে কামড়ালে তাত্ক্ষণিক ভাবে কি করবেন

      সাপে কামড়ালে তাত্ক্ষণিক ভাবে কি করবেন
     
    প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ মারা যায় সাপের ছোবলে। অনেক দেশেই সাপের অত্যাচার দারুণ সমস্যা তৈরি করে। ভারতে প্রতি বছর ১০ লাখ মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়। আমাদের দেশেও মাদারীপুরের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ অদৃশ্য সাপের আতঙ্কে দিনযাপন করছেন। বিষাক্ত সাপের কামড় খেলেও বাঁচার নানা পথ আছে। এ সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের বি জে মেডিক্যাল কলেজের সর্প বিশেষজ্ঞ ড. ভিজে মুরালিধর।


    ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় ২৫০ প্রজাতির সাপ দেখা যায়। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ প্রজাতি বিষাক্ত। বিশেষ করে কোবরা, ভাইপার, ক্রেইট এবং রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটে। অবশ্য বহু আগে এসব সাপের দৌরাত্ম বেশি ছিল। এখন অনেক কমে এসেছে এদের সংখ্যা। এ ছাড়া একই প্রজাতির ভিন্ন সাপ রয়েছে যাদের বিষ মৃত্যু ঘটানোর জন্যে যথেষ্ট নয়। যেমন হাম্পনোজড পিট ভাইপার। এদের কামড়ে রক্তক্ষরণসহ কিডনি নিষ্ক্রিয় হতে পারে।
    আবার উজ্জ্বল বর্ণের ক্রেইট কামড়ালে লক্ষণ অন্য সাপের কামড়ের সঙ্গে মেলানো যাবে না। এর কামড়ে রক্ত ঝরে না বা ব্যথাও অনুভূত হয় না। এমনকি অনেক সময় এর কামড়ের চিহ্নও বোঝা যায় না। তবে যে সাপই কামড় দিক না কেন, প্রথমেই তাকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া উচিত। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে রোগিকে দ্রুত বিপদমুক্ত করা যায়।


    যা করা উচিত :-  প্রথমেই সাপে কামড়ানো রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে যে তার কোনো বিপদ হবে না। উত্তেজনায় রোগীর হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এতে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। রোগীকে এমনভাবে শোয়াতে হবে যেন কামড়ের স্থান হৃদযন্ত্র বরাবর কিছুটা নিচের দিকে থাকে। দেহের আঁটোসাঁটো পোশাক, অলংকার ইত্যাদি খুলে ফেলুন। কামড়ের ওপর দিকে একটি ফিতা বা রশি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে ফেলুন।


    বিষক্রিয়ায় রোগীর হৃদস্পন্দন অনেক সময় বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়। সে ক্ষেত্রে সিপিআর দিন। অর্থাৎ, কেউ পানিতে ডুবে গেলে বা অন্য কোনো শকে আক্রান্তকে শুইয়ে বুকে দুই হাত দিয়ে চাপ দিতে থাকুন। এভাবে তার হৃদযন্ত্র সচল করে ফেলুন। হাসপাতাল দূরের পথ হলে ফোন দিয়ে বিষ নিস্ক্রিয়করণের কোনো ওষুধের নাম শুনে তা প্রয়োগের চেষ্টা করুন।

    যা করবেন না :- কামড়ের স্থান সাবান দিয়ে ধোবেন না। আক্রান্ত স্থানের আশপাশে কেটে রক্ত বের করবেন না। ইলেকট্রিক শক দেবেন না। ঠাণ্ডা পানি বা বরফ কামড়ের স্থানে ধরবেন না। বড় বিষয়টি হলো, সে সাপ কামড়েছে তাকে ধরে মারার পেছনে সময় নষ্ট করবেন না। আক্রান্তকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন। রোগীকে পানি বা কোনো ধরনের পানীয় পান করাবেন না।

    সাপের বিষক্রিয়া দূর করতে এএসভি অ্যান্টিডোট ব্যবহার করা হয়। এভিএস এর আবার মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এতে মধ্যম থেকে মারাত্মক অ্যালার্জির সৃষ্টি হয় যাকে অ্যানাফাইল্যাক্সিস বলে। কাজেই দেহে এএসভি প্রয়োগ করার আগে আবার এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিষ্ক্রিয় করার অ্যান্টিডোটসহ ব্যবহার করতে হবে। আবার কেউ যদি কখনো বিষাক্ত বা সামান্য বিষাক্ত সাপের কামড় খেয়েও বেঁচে যান, তবে দ্বিতীয়বারের কামড়ে তাকে বাঁচাতে শক্তিশালী এএসভি ব্যবহার করতে হবে। কারণ প্রথম কামড়ের পর তার দেহে অ্যান্টিজেন থেকে যায়। দ্বিতীয় কামড়ের কারণে সেই অ্যান্টিজেনের সঙ্গে বিষ মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

    চালতা একটি অপ্রকৃত ফল

     চালতা একটি অপ্রকৃত ফল


    চালতা একটি অপ্রকৃত ফল। এ ফলের যে অংশটা খাওয়া হয় তা আসলে ফুলের বৃতি। ভক্ষণযোগ্য অংশটা হলো পরিণত বৃতির মাংসল পরত। চালতা ফল বাঁকানো নলের মতো এবং এতে চটচটে কষ বা রস থাকে। চালতা ফলের ইংরেজি নাম Elephant apple এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম Dillenia indica। বাংলাদেশের স্থানবিশেষে এই ফল চালিতা বা চাইলতা নামেও পরিচিত। অসমীয়া ভাষায় চালতাকে বলে ঔটেঙা। চালতা ফল দিয়ে আচার তৈরি করা যায়। কিছু কিছু এলাকায় চালতা দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়া হয়। পাকা চালতা ভর্তা মসলা দিয়ে মাখিয়েও খাওয়া যায়। এক অর্থে চালতা একটি অবহেলিত ফল হলেও এতে আছে ক্যালসিয়াম, শর্করা, আমিষের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। এ ছাড়াও আছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, থায়ামিন ও রিবোফ্লাবিন। তাই চালতা শরীরে যেমন রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে, তেমনি পুষ্টি পূরণেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। আসুন জেনে নেয়া যাক এর বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে


    উপকারীতা :- চালতা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সির ভালো উৎস। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এই ফল স্কার্ভি ও লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে। চালতায় রয়েছে বিশেষ ধরনের কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা জরায়ু ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এর ভেতর থাকা আঁশ বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। চালতায় উপস্থিত আয়রন রক্তের লোহিতকণিকার কার্যক্রমে সহায়তা করে। রক্তের সংবহন ঠিক রাখে। চালতার বিভিন্ন উপাদান হার্টের নানা রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে। চালতা পেটের নানা অসুখ প্রতিরোধে সহায়তা করে। ডায়রিয়া সারাতে কাঁচা চালতার রসের তুলনা নেই। রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে চালতা। ঠান্ডা ও কাশির জন্য পাকা চালতার রস চিনি মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। কিডনীর নানা রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে চালতা। বাত রোগে কচি ছোট ফল বেটে এক গ্লাস ঠান্ড জলে মিশিয়ে খেলে বাতে উপকার হয়। চালতা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ডায়রিয়া ও বদহজমে চালতা খান, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
    অন্ত্রে বাসা বাঁধা কৃমির বিরুদ্ধে লড়ার এক অসাধারণ ক্ষমতা আছে চালতার। পাকস্থলীতে যাদের আলসার আছে, তাদের জন্য দাওয়াই হতে পারে চালতা। স্কার্ভি (ভিটামিন সি এর অভাবজনিত একটি রোগ) থেকে সুরক্ষা পেতেও চালতা খেতে পারেন। হৃদযন্ত্র এবং যকৃৎ ভালো রাখার প্রয়োজনীয় সব উপাদান আছে চালতায়। এই ফল হাড়ের সংযোগস্থলের ব্যথা কমাতেও খেতে পারেন। কানের যেকোনো সমস্যায়ও চালতা খেতে পারেন।

    পাতা ও মূলের উপকারিতা : শুধু ফল নয়, চালতার মূল ও পাতারও রয়েছে ওষধীগুণ। রক্ত আমাশয় গাছের কচি টাটকা পাতা বেটে তার রস ২০ মিলিলিটার এক কাপ ঠান্ডা জলে মিশিয়ে দিনে দুবার খেলে রোগের উপশম হয়। মচকে গিয়ে ব্যথা পেলে সেখানে চালতা গাছের মূল ও পাতা পিষে প্রলেপ দিলে ব্যথা কমে যায়।


    রূপ চর্চায় চালতা :- শুধু খাদ্য হিসেবে নয়, রূপচর্চার উপাদান হিসেবেও রয়েছে চালতার ব্যবহার। কাঁচা চালতা পানিতে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় নিয়মিত লাগালে চুল পড়া কমে যায়। কাঁচা চালতার রসের সাথে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে সপ্তাহে দুবার চুলের গোড়ায় লাগালে খুশকি দূর হয়ে যাবে। চালতার রসের সাথে চালের গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করলে মরাকোষ পরিষ্কারের পাশাপাশি ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও কোমল। চালতার রস টোনার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। চালতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে তাতে তুলো ভিজিয়ে ত্বকে লাগান। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে বলিরেখা পড়া বিলম্বিত করে এই টোনার। চালতার রসের সাথে চিনির গুঁড়া মিশিয়ে ত্বকের কালো অংশগুলোতে লাগান। আঙুল দিয়ে হালকা মাসাজ করুন দশ পনেরো মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।

    জেনেনিন বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে “এলসিডি টিভি সহ অন্যান্য জিনিসের উপর শুল্কের পরিমাণ

     জেনেনিন বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে “এলসিডি টিভি সহ অন্যান্য জিনিসের উপর শুল্কের পরিমাণ”

    আমাদের অনেকের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বিদেশে থাকেন। দেশ-বিদেশ যাতায়ত করার সময় আমরা বিদেশ থেকে অনেক জিনিস এনে থাকি, সেটা হয়ত প্রয়োজনে বা শখের বশে, অথবা আত্মীয়কে খুশি করতে। তো, যারা জানি না কি কি পন্য বিদেশ থেকে বিনা শুল্কে আনা যায় আর কোন কোন পন্যে শুল্ক দেয়া লাগে তাদের জন্য এই  পোষ্ট। অনেক সময় সামান্য একটু অসর্তকতার কারনে আপনার ক্রয়কৃত পন্য এয়ারপোর্টে ফেলে আসতে হয় অথবা শুল্ক বাবদ দিতে হয় অনেকগুলি টাকা। তাই নিচের ছবিটা ভালো করে লক্ষ করুণ, এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি লিস্ট ।

    পেটের চর্বি কমাতে সবচেয়ে সহজ ও নতুন পদ্ধতি

     "পেটের চর্বি কমাতে সবচেয়ে সহজ ও নতুন পদ্ধতি"

     পেটের চর্বি দেখতে যেমন দৃষ্টিকটু তেমনি চলাফেরায়ও নানা সমস্যা। অথচ খাবার-দাবারের প্রতি একটু মনোযোগী হলে এসব সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। সে জন্য অবশ্যই অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দিতে হবে, খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার। সঙ্গে কিছু ব্যায়াম করলে পেট থেকে চর্বি সহজেই ঝেড়ে ফেলা যায়।


    বেশি বেশি পানি পান :
    আমাদের শরীরের ৭০ ভাগই পানি। আমাদের শরীরের পরিপাকের কাজের বেশির ভাগই পানির উপস্থিতিতে হয়ে থাকে। সুতরাং শরীরে যখন যথেষ্ট পরিমাণ পানি থাকে তখন পরিপাকের কাজটাও সহজেই হয়।
    লবণ পরিহার :
    লবণাক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। সেই সঙ্গে সংরক্ষিত খাবারও। কেননা সংরক্ষিত খাবারে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। শরীরের জন্য লবণ আসলে ক্ষতিকর, কেননা এটি পানি ধারণ করে রাখে। এটার কারণেই অনেক সময় শুষ্ক দেখায়।

    ভাজাপোড়া খাবার পরিহার :
    প্রথমে ফ্রিজে যেসব অস্বাস্থ্যকর খাবার জমা আছে সেগুলো ফেলে দিতে হবে। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের স্থলে তাজা ফল, শাকসবজি এবং শস্যজাতীয় খাবার রাখতে হবে। অতিরিক্ত সিদ্ধ খাবার খাওয়া থেকেও দূরে থাকতে হবে, কেননা এসব খাদ্যে খাদ্যমান নষ্ট হয়ে যায়।
    কাঁচা রসুন সেবন :
    প্রতিদিন সকালে ২/৩ টুকরা কাঁচা রসুন এবং এক গ্লাস লেবুর শরবত খাওয়ার অভ্যাস করলে দারুণ উপকার পাওয়া যাবে। এটা একদিকে যেমন ওজন কমার গতি ত্বরান্বিত করে তেমনি রক্ত সঞ্চালনের গতি বাড়াতে সাহায্য করে।
    সাদা চালের ভাত থেকে দূরে থাকা :
    সাদা চালের ভাত খাওয়া পরিহার করতে হবে। খেতে হবে গমের খাবার।
    শিম খাওয়া :
    শরীর থেকে চর্বি ঝেড়ে ফেলতে শিমজাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। নিয়মিত শিমজাতীয় খাবার খেলে মাংসপেশির যেমন উপকার হয় তেমনি হজমশক্তি বাড়ে। খেতে হবে শসাজাতীয় খাবারও। কেননা শসা যেমন সতেজ রাখতে সহায়তা করে তেমনি এটি কম ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার। শসায় সাধারণত ৯৬ ভাগ পানি থাকে, যা খাবারটিতে ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।

    Mobile

    Pages